Huawei Honor Band 3 এর মনের ভেতর থেকে একটা রিভিউ

যখনই Honor Band 3 এর কথা উঠে, একটা কথা বারবার শুনতে হয়, সেটা হচ্ছে Color Band A2 এর ডিস্প্লে বড়, ফিচার সেটও দুই ব্যান্ডের প্রায় একই তাহলে ১ হাজার টাকা বেশি দিয়ে Honor Band 3 কেন কিনব? উত্তরটা হচ্ছে, Honor Band 3 জল নিরোধোক, এটা পুরা পানিতে চুবিয়ে দিলেও কিছু হবে না এবং এটা পরে সাঁতার দেওয়া যায়। ডিস্প্লে ছোট হওয়াই এটার চার্জও সামান্য বেশি যায়। তবে সেটা চোখে পড়ার মত কোন বিষয় না। দুই ব্যান্ড হাতে দিয়ে ব্যান্ড থ্রি আমার কাছে বেশি আরাম দায়ক মনে হয়েছে। বেশি কথা না বাড়িয়ে ভালমন্দ দিক নিয়ে বলতে চাই। অধিকাংশ জিনিসই দুই ব্যান্ডের জন্য একই হবে। তেমন তফাৎ নাই (সাঁতার আর হার্টরেট সেন্সরের কন্সিস্টেন্সি ছাড়া)।

ভাল দিক:
১। ৫০ মিটার পর্যন্ত পানি নিরোধী হওয়ায় সাঁতার ট্রাক করা যায়
২। হার্টরেট সেন্সরের একুরেসি কতটুক জানি না তবে কন্সিস্টেন্সি ভাল
৩। স্লিপ ট্র্যাকিং পার্ফমেন্স অসাধারন। আপনি সারাদিনে যেকোন সময় ঘুমাতে পারেন। এটা ট্র্যাক করবে, অত্যন্ত দক্ষতার সাথে
৪। এক ঘণ্টা বসে থাকলে ঝাঁকি দিয়ে নড়াচড়া করতে বলে
৫। নাম ও ফোন নম্বর সহ ডিস্প্লে তে নটিফিকেশন আসে, কেও ফোন দিলে
৬। কোন ফোন না ধরতে চাইলে সরাসরি ব্যান্ড থেকেই কল এবর্ট করা যায়, ফোন পকেট থেকে বের করার দরকার নাই
৭। এসএমএস ও অন্যান্য নটিফিকেশন ফুল সো করে, ফলে চাইলে ইংরেজিতে লিখা মেসেজ ব্যান্ডেই পড়ে নেওয়া যায়
৮। রেইজ টু ওয়েক ফিচার টা অস্থির কাজ করে। সামনে আনতেই ডিসপ্লে অন হয়ে যায় আবার সরানো মাত্রই বন্ধ
৯। সারাদিন হার্টরেইট মনিটরিং গ্রাফটা অস্থির লেভেলের ডিটেইলড
১০। সারাদিনে কত টুকু ঘুমানো বা হাঁটা হলো ব্যান্ডে সরাসরি দেখা যায়
১১। ব্যান্ড থেকে সরাসরি বিভিন্ন ট্র্যাকিং (দৌড়, সাঁতার, হার্টরেট) চালু করা যায়। ফোনের দরকার নাই

মন্দ দিক:
১। রোদে ডিস্প্লে দেখতে ভাল কষ্ট হয় (রাজশাহীর রোদ ভাই 🙂 রাস্তা দেখতেও কষ্ট হয়)
২। বাংলা টেক্সট রেন্ডার করতে পারে না। ফলে কেও বাংলায় মেসেজ দিলে বা কারও নাম বাংলায় সেইভ করা থাকলে সেটা দেখা যায় না
৩। অসম্ভব রকমের বাগি সফটওয়ার, এটা নিয়ে বলা শুরু করলে সারাদিনেও শেষ হবে না
৪। চার্জ ৫-৬ দিনের বেশি থাকে না, সব ফিচার ব্যবহার করলে (বিশেষ করে ট্রু স্লিপ ট্র্যাকিং)
৫। সফটওয়ারে ক্লাইম্বিং কাউন্টার থাকলেও আপনি গাছে উঠেন আর এভারেস্টের চুড়ায়, কিচ্ছু কাউন্ট হয় না (এটা সফটওয়ার ইস্যু)
৬। কল রিসিভ করার পরেও ব্যান্ডে মিসড্ কল হিসাবে সো করে এবং নতুন কোন কল আসার আগ পর্যন্ত ঐ মিসড্ কল এলার্ট উঠে থাকে (এটা সব থেকে বেশি বিরক্তিকর)
৭। Health অ্যাপ দিয়ে সরাসরি কানেক্ট না করলে ঘড়ি ১২ ঘণ্টা করা যায় না
৮। Wear অ্যাপ দিয়ে কানেক্ট করলে নটিফিকেশন ভাল মত পাওয়া যায় কিন্তু ঘড়ি ১২ ঘণ্টার করা যায় না
৯। আমার মত চামড়া পাতলা হলে ব্যান্ডটা কেটে বসে যাবে চামড়ায় আর চুলকাতে পারে। তবে এটা অন্য কারও সাথে হয়েছে বলে এখনও শুনি নাই
১০। ডিস্প্লেতে স্ক্র্যাচ পড়ে, যদিও কোথাও স্ক্রাচ রেজিস্টেন্স দাবি করা হয় নাই তারপরও এটা উল্লেখ করা ভাল
১১। দিনের ডেটা দিনে সিঙ্ক না হলে তা হারিয়ে যায়। মানে আপনি সারাদিন ফোন ছাড়া ব্যান্ড ব্যবহার করলে সব ডেটা ব্যান্ডে সেইভ থাকবে তবে অবশ্যই রাত ১১:৫৯ এর মধ্যে ফোন কানেক্ট করে সিঙ্ক করে নিতে হবে

ব্যান্ডের কোন ছবি নাই, দেখতে মন চাইলে গুগল করে দেখেন -_-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *