১৫ জুলাই হতে ১৫ সেপ্টেম্বর এ বছরের মেকারপার্টি সীজন। তাই ফেসবুক আর টুইটার জুড়ে শুধুই মেকারপার্টি আর মেকারপার্টি! আরেক কথায় আকাশে বাতাসে মেকারপার্টি!!!
প্রথমেই মেকারপার্টি নিয়ে সংক্ষেপে কিছু কথা বলে নি, মেকারপার্টি মূলত ওয়েবমেকারদের মিলন মেলা। মেকারপার্টিতে ওয়েবমেকারগণ একত্রিত হন এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অসাধারন কিছু কন্টেন্ট ওয়েবে তৈরী করেন। ওয়েবে কন্টেন্ট তৈরীর জন্য বিভিন্ন ব্যাবস্থা থাকলেও মোজিলা তার “ওপেন ওয়েব” ফিলোসফিকে ছড়িয়ে দেবার জন্য ও ওয়েবের খুটিনাটি সকলের কাছে উন্মুক্ত করতে ওয়েবমেকার নামক প্রজেক্ট শুরু করে। মূলত ওয়েবমেকারগণ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি তাদের মেক এর মাধ্যমে তুলে ধরেন।
গেল ১৬ জুলাই আমি, হিমু এর সহযোগিতায় তার বাড়িতে একটি মেকারপার্টির আয়োজন করি। আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল যারা ওয়েবমেকার সম্পর্কে কিছু জানে না তাদের ওয়েবমেকার ও এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানানো। তাই আমি হিমুর বাড়িতে আমার আরো ৯ জন বন্ধুকে মেকার পার্টির জন্য আমন্ত্রন জানাই। এরা ছিল ওয়েব সম্পর্কে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ তাই আমার করা প্রথম কাজটি ছিল এদের টুলস গুলি সম্পর্কে ধারনা দেয়া। টুলস সম্পর্কে ধারনা দেবার পরে আমি তাদের সামনে ওয়েবমেকার ফিলোসফি গুলি একেএকে তুলে ধরি। তারপর তাদের বুঝিয়ে দেয় যে তারা প্রধানত দুই ধরনের কন্টেন্ট মেক করতে পারে, এক: তথ্য শেয়ার করার জন্য আর দুই: বিভিন্ন বিষয় শিক্ষা দেবার জন্য। প্রাথমিক এইসব ধারনা দেবার পর তাদের পরিচয় করাই বাংলাদেশী সংষ্কৃতি রক্ষার্থে এবছরের ওয়েবমেকার বাংলাদেশ নির্ধারিত থিম বাংলামেক এর সাথে। এরপর সীমিত সংখ্যক পিসি ও নেটের কারনে মোট ১০ জন নতুন অংশগ্রহন কারীকে আমি ৫ টি আলাদা আলাদা গ্রুপে বিভক্ত করে দেই। এতে যেমন তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ভাল কাজ করার সুযোগ পায় তেমনি নেট ও পিসির অভাবটাও পুষিয়ে যায়। টানা আড়াই ঘন্টা গুগলিং, ফটো আপলোডিং, হ্যাকিং, রিমিক্সিং এর পর আমাদের মেকার পার্টি শেষ হয়।
যদিও আমার আশানারূপ মেক পার্টি চলাকালীন তৈরী সম্ভব হয়নি, তারপও আমি এটিকে একটি সফল ইভেন্ট হিসেবে ধরছি, কারন ৫ টি গ্রুপ ৩টি মেক পার্টি চলাকালীন শেষ করেছে, বিভিন্ন সমস্যা থাকা সত্তেও। এছাড়াও, এই ইভেন্টের মাধ্যমে ১০ জন সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞদের ওয়েবমেকার নিয়ে ধারণা দেয়া হয়েছে।
চাাঁপাইনবাবগজ্ঞ মেকারপার্টিতে কি কি মেক হয়েছে জানতে এখানে ক্লিক করুন।